Submit your work, meet writers and drop the ads. Become a member
 
Imran Islam Apr 2018
সৃষ্টি করে প্রভু এই নিখিল ধরণী
পাঠালে সেথায় নানা জীব নানা প্রাণী।
নিত্য উষার কোলে ভাসে সোনার রবি
ফুটে ওঠে ঐ প্রকৃতির আপন ছবি।

সৃষ্টি করলে তুমি চাঁদ, দিশার তারা
মেনে চলে সবে প্রভু তোমার ইশারা।
বাতাসে ভেসে আসে ওই ফুলের ঘ্রাণ
মন হরা প্রিয় ঐ পাখির কণ্ঠে গান।

কেঁপে ওঠে মাটি পেলে আকাশের ডাক
মেঘ হতে ওই বৃষ্টি হয় যে ফারাক।
জোয়ারে ভরে যায় ও নদীর দুকূল
আপন মনে সবে মানে তোমার রুল।

চলে সবে তোমার পরে করি মালুম
মানতে যেন পারি ঐ তোমার হুকুম!
Imran Islam Apr 2018
আমি বাংলায় কাঁদি হাসি
বাংলায় গান গাই
যখন বেদনায় ভাসি
বাংলায় সুধা পাই!

বাংলাই আমার মাতৃভাষা
বাংলা ভাষাই প্রাণ
বাংলায় দেখি সহজ দিশা
বেদনা- পরিত্রাণ!

বাংলা আমার চোখের আলো
বাংলা মুখের ফুল
বাংলা ভাষাই শ্রেষ্ঠত্ব পেলো;
নেই বাংলার তুল!

ভাষার বলে বলতে পারি-
'আমিও তো বাঙালি'
ভাষা-প্রেমে লয় করে- অরি
স্বাধীন পথ চলি।

বাংলা, তুমি গর্বিত আজ-
যাঁদের রক্ত-জলে
তাঁরাই বাঙালির তাজ;
তাঁরা উদয় কালে।

হে বাংলা ভাষা,
তুমি শহিদের রক্তে-
শুদ্ধিলে- 'একুশ' অক্তে!
Imran Islam Apr 2018
আমার যে যখন দিন ফুরাবে, দেহ হবে লাশ
আপন জনে কাঁদবে আমার ঘিরে চারি পাশ
কী হবে মোর একটু পরে?
রাখবে আমায় মাটির ঘরে
পরাবে আমায় লাশের ভুষণ-বেশ!

সাথে আমার কেউ যাবে না
সাথী আমার কেউ হবে না
হায়, হায়, আমার এ কী সর্বনাশ!

নেই আমার কোন হিম্মত
কোন গুনেতে পাবো নাজাত
রেহাই পাবো আমি করি যদি পাশ!

কোথায় আমার বাড়ি গাড়ি
কোথায় গেলো বাহাদুরি
দূর হলো যে সকল অবিলাস।
সব মায়া জাল ছিন্ন করে
থাকবো আমি আঁধার ঘরে
সেই আমার চির নিবাস!

মৃত্যুর আগে আমাকে বাঁচাও
পূণ্য-পথিক যেন করে দাও
প্রভু, ডেকো আমায় করে পূর্ণ দাস!
Imran Islam Apr 2018
রমণীর সুখ বিলিয়ে দিয়ে পুরুষ করেছে মহান
রমণীর প্রেমে ছন্দ পেয়েছে কবি, সুর পেয়েছে গান।
রমণীর আদর সোহাগে এ সংসার ভরে গেছে সুখে
রমণীর ভালোবাসায় পুরুষ কষ্ট ভুলে যায় দুখে!
রমণীর পরশে এত সুন্দর হয়েছে সারা জাহান
রমণীর অনুরাগ পেতে বিশ্বে কত যুদ্ধ অভিযান!

তোমার কোলেই মায়ের আদর বোনের সোহাগ মাখা
রমণী, তোমার ছোঁয়ায় সিক্ত মন; তুমি জীবন সখা!
তোমার কোলে হতাশা ভোলার সুখের স্বপ্ন ভরা
সব ভুলিয়ে যেন চির আপন তোমার মায়ার ধরা।
তোমার কারণে বাঁকা হয়ে চলে জীবনের সরল রেখা
দহণ পাপে কত পুরুষের মুখে যায় না হাসি দেখা!

রমণী কেন মায়ের কোল থেকে কেড়ে নেয় প্রিয় সন্তান?
কেন ভায়ে-ভায়ে বিবাদ, ভেঙে দেয় সুখের একতান?
পুরুষের মাথা নষ্ট করে কেন রমণী উড়ায় কেশ?
রমণীর লালসায় দিনে দিনে পুরুষ হচ্ছে নিঃশেষ!
কেন রমণীর মন ভেঙে দিয়ে পুরুষ হয় পাশান?
মিথ্যে রমণীর গোপন প্রণয় সংসার করে শ্মশান!

রমণী, তোমার প্রণয় ভরে দাও এই অশান্ত বিশ্ব
তোমার প্রেম অনুরাগ ছাড়া যেন সারা পৃথিবী নিঃস্ব!
Imran Islam Apr 2018
তোমায় নিয়ে আমরা সংগ্রামী, বিদ্রহী
তোমার তরে সে দিন দিয়েছেন প্রাণ-
স্বার্থ ত্যাগী অন্তেবাসী বাংলা ভাষা দেহী।
ভাষাই এঁকেছে এই বাংলার নিশান!
হে ভাষাশহিদ, তুমি গর্বিত সন্তান
তারুণ্যময়ী তরুণ তুমি তো প্রবাহী,
বাংলা ভাষা ধন্য তবু তোমার বিরহী!
বিদ্রহী একুশে পেল এ বিশ্ব সম্মান।

ভুলবো না তোমায়, ভুলবে না মহী
তুমি সাক্ষ্য মাতৃটানে, লেখা অভিধান।
শ্রদ্ধাসিক্ত এই জাতি; আমি গুণ গ্রাহী
ঝঞ্ঝা ওঠে মন-কায়- একুশে তুফান।
একুশের অবদান- অরি অবসান,
স্বাধীন বাংলা ভাষার পবনে সুগ্রাণ!

[২৪/০১/০৯]
Imran Islam Apr 2018
আমি চাই না চিরকাল থাকি ভবপর
এমন বিদায় দাও মোরে
যেন বেঁচে থাকি মরণেরও পর!

আমি চাই তোমার কাছে জ্ঞানের শক্তি
আমি চাই তোমার কাছে দুর্লব উক্তি
যার পরে আসে সাম্যের সংসার!

চাই না উদয় হাসি; অস্তেও যেন হাসে মন
চাই না এই হৃদয়ে ভয় থাক সারাক্ষণ
আমি চাই জীবনে না আসুক আঁধার!

এই জীবন যেন হয় বাধাহীন
যেন সে হয় একান্ত ইচ্ছাধীন
আমি চাই দূরে থাক সব অহংকার!

[১১/০৫/০৯]
Imran Islam Apr 2018
আমি যখন উদয় আসি
কর্ম আসে পাশাপাশি
তখন আত্মমগ্ন বিশ্ববাসী
কর্ম ফেলে করে হাসা-হাসি!

যখন বিশ্বমনে জাগে আশা
কর্ম ফেলে যায় না বসা
আমি তখন মাথায় বসি!

আসে যখন যাবার আবাস
বিশ্ব তখন কর্মে হতাশ
আমি পরি তখন সাঁঝের ফাঁসি!

বিশ্ব যখন আমার পাশে
ভুল ভেঙে দাঁড়ায় এসে
আমি তখন হই যে নাশী!

[১১/০৫/০৯]
Next page