Submit your work, meet writers and drop the ads. Become a member
79 · Apr 2020
অণু কবিতা
Samar Bhowmick Apr 2020
সময়ের স্রোতে ভেসে যায় সুখ
করোনা এনে দিলো সাগর সম দুঃখ
তবু বন্ধু ভাবনায় কাটে মন
মৃত্যু’র সম্মূখে আনন্দে মাতি যখন তখন।

কষ্টের গভীরেও থাকে যে সুগভীর আশা
বন্ধু জেনো সেখানেই আমার ভালোবাসা
চাই নতুন ভোরে নতুন প্রভাত আসুক
মন আমৃত্যু তোমাকেই ভালোবাসোক।।


19 এপ্রিল 2020;23:02, ঢাকা, বাংলাদেশ।
79 · Apr 2020
অতুষ্টি
Samar Bhowmick Apr 2020
শানবাঁধাই সেই পুরনো দিঘির ঘাটে বসে
চৈত্রের পরন্ত বিকলে
ভেবেছিলাম কথা বলবো তোমার সাথে।

দখিনা হাওয়ার দোলবে দিঘির শান্ত জল
ঝাঁকে ঝাঁকে হাঁসের সাঁতার
ঝরা পাতার মর্মর শব্দের আর্তনাদ
মুছে দিবে কোকিলের স্নেহময়ী সঙ্গীতে।

বুক পকেটে সাজিয়ে আনবো কথামালা
খোপায় রক্তজবা গুজে কথার দুয়ার খুলবো
রক্তজবা ঘ্রাণ ছড়াবে ভালোবাসার
কথামালার ভাঁজে ভাঁজে তোমার স্পর্শে
দাগ কাটবে মনের গভীরের মনে।

চোখের কপাট খুলে শব্দহীন কথা হবে কিছুক্ষণ
মৌনতায় মৌনতা জড়িয়ে আবেগের বাড়ী
অনুভূতির বিনিময়ে নিরব উষ্ণতায়
দীর্ঘশ্বাসে দীর্ঘশ্বাসে হবে মত বিনিময়।

অণু, নীরব কথোপকথনে তোমার মনে হবে
গোপন কালিতে লিখা আমাদের গল্প
আমাদের গোপন প্রেমের উপাখ্যান
সময়ের গর্ভে সময় হারালে হবে আরো মুল্যবান।

তুমি ইচ্ছে করলেই বলতে পারো অণু
আমাদের ইচ্ছেটাই হৃদয়ের একান্ত গল্প
রাগহীন ঘৃনা হীন কোন বসন্ত পিয়াস
স্বর্ণালী অবয়বে প্রেমের নশ্বর বার্তা ।

তবু আমার ইচ্ছে করে একবার বসি মুখোমুখি
শানবাধাঁই সেই পূরূনো দিঘির ঘাটে
তোমার অনুভূতি ঘিরেই প্রতিজ্ঞা সাজাই
পাঠাই তোমার অন্তরের অন্তঃপুরে।।
Samar Bhowmick Apr 2020
দুর্নীতি আজ ঘরের ভিতর
আপন জনের মাঝে
সবাই রইলো চুপটি করে
লোভ লালসার লাজে।

লোভের জিহ্বা কুকুরের সাথে
দিতেই পারে টেক্কা
কুকুর হাসে জিহ্বা দেখে
পায়না কোন ব্যাখ্যা।

বাবা খাচ্ছে ছেলের রুজি
সেজে নতুন জামাই
কিসে কোথায় করছে রুজি
জানেনা কিসের কামাই।

নীতির চিন্তা করতে গেলে
সুখ যাবে ফেসে
হারাম খাবার খাচ্ছে কিন্তু
দুর্নীতি ভালোবেসে।

স্ত্রী’র মুখেও প্রশ্ন নাই
চাওয়া মাত্র পায়
নীতির চিন্তা করবে কেন
মাটি ছুঁইনা পায়।

চোরা স্বামী অনেক ভালো
যুগের তালে চলে
সংসারে সুখ অটুট রাখে
বলুক যে যা বলে।

সন্তান বলে আমার বাবা
সবার চেয়ে সেরা
অবুঝ শিশু জানেনা তারা
পিতা পাপে ঘেরা।

সমাজ বলে সাহেব দেখেন
কেমন করে দান
দানের স্রোতে সব ভুলেযায়
সাহেব তাঁদের প্রাণ।

কিসের রোজগার সরকার জানে
আমাদের করার কি
সমাজ সেবায় থাকবে সাহেব
আমরা তুলবো ঘি।

এমনি করে দুর্নীতি আজ
রাষ্ট্রের কাঁধে বোঝা
সমাজটা ঠিক করা গেলে
দুর্নীতিবাজ সোজা।।
Samar Bhowmick Apr 2020
দূর আসমানে বসে ঈশ্বর
করছো কেমন খেলা
এমন করে মfরছো মানুষ
কিসের অবহেলা?

ঘৃনায় আজ মরছে মানুষ
যাচ্ছেনা কেউ পাশে
অজানা দানব আসলো বুঝি
প্রাণটা যাবে শেষে?

তুমিই যদি সবার সেরা
সৃস্টির প্রতি পালক
করোনা প্রান নিচ্ছে কেন
বৃদ্ধ থেকে বালক?

এ কেমন ঈশারা তোমার
সৃস্টির প্রতি আজি
সৃষ্টি তুমি করলে কেন
উত্তম মধ্যম পাজি?

ক্ষমতা তোমার যতই থাকুক
এভাবে কেন দেখাও
মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে
মানুষকে কি শেখাও?

ক্ষমতা যাঁর আছে বেশি
ব্যবহার করবে সে
মরবে মরো নিরিহ যতো
দেখতে আসবে কে?

অগনিত প্রান নিচ্ছ কেড়ে
জানি তুমিই বড়
এমন তান্ডব দুনিয়া জুড়ে
কেমন করে কর?

আমার প্রশ্ন তোমার কাছে
মানবতা তোমার কই
তুমি মহৎ জ্ঞানী মহান
কেমনে ভেবে রই?
Samar Bhowmick Apr 2020
26 এপ্রিল 2020

নুন আনতে পান্তা ফুরায় শব্দে ঢালো ঘি
কবির কামাই জানতে চাই লেখায় লাভ কি?

উত্তম চিন্তা বাদ দিয়ে বস্তু চিন্তা কর
ভোগ বিলাসে কাটবে জীবন হবে তুমি বড়।

জাতির বিবেক রাখছো খাড়া কবি হয়ে তাই
সেই খেয়াল রাখেনা কেউ সেই মন নাই।

কবির শান্তি দেখিয়া কেবল মুখে মানুষের হাসি
অন্তর কাঁদে নিরবে তবু বলে জগৎ ভালোবাসী।

সম্মান সম্মাননা নিয়ে ভাবে না তো কেউ
সবাই দেখে অর্থ সম্পদ নাহয় কবি ফেউ।

কবিকে জানি চিনতে গিয়ে করো তোমরা ভুল
অন্তরে যাঁদের ঘৃণার আলো চোখে পরেনা ফুল।

কবিতার আছে নিজস্ব প্রাণ আছে দেশের মায়া
কবি সভ্যতার অভিভাবক যেমন বট বৃক্ষের ছায়া।

কবিতা পারে শান্তি দিতে অসহায় ক্লান্ত প্রানে
কবি পারে বদলে দিতে সুরে সুরে গানে।

কবিতা পারে জাগিয়ে দিতে বিশ্ব মানুষের মানবতা
কবি পারে রুখে দিতে অন্যায় অবিচার হিংস্রতা।

কবিতা চায় পৃথিবী হোক স্বর্গ সুখে ভালোবাসাময়
কবি চায় মানুষে করুক মানুষের হৃদয় জয়।

যুদ্ধ করে বাঁচেন কবি থাকেন তিনি টিকে
জীবনের সকল কষ্ট ভুলেন নতুন শব্দ লিখে।

কবির শান্তি কলম খাতায় চীর সবুজ প্রাণ
আপন পরের বাঁকা সুরে যেন পাখির কলতান।

বস্তু জ্ঞানে বিচার করা যাঁদের হলো স্বভাব
তাঁরা থাকে চির ক্ষুধায় মিটেনা কভু অভাব।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু এ অজানায় তোমায় খোঁজে কোথাও না পাই
অশান্তির ঠিকানায় নিতান্তই আমি ছাড়া কেউ নাই।

থুঁজেতেছি দিনরাত অসংখ্য সময়ের অজস্র প্রহর
ঘুরিয়াছি শত জনপদ পথ-প্রান্থর, পড়িয়াছে কহর

অচিন বেশে তুমি হেসে হেসে হৃদয় করেছো বশ
পাগল হইয়াছে ঘুমন্ত হৃদয় জীবন যাপনে ধস।

ভালোবাসা প্রেম হলে হৃদয়ে আগুন জ্বলে, কেমন করে বলি
ভালোবাসা সুখ এক অনন্ত অসুখ, অন্তরে চাপিয়ে চলি।

অপেক্ষা আর প্রতিক্ষায় গোনি সময়ের ক্ষণ
অণু তোমার বিরহে সদা জাগ্রত এ নিঃস্ব মন।

বুঝেও কি বুঝো না অবুঝের মতো
অপেক্ষার অন্তরালে হৃদয়ে বাড়িতেছে ক্ষত।

কোন ভুলে কতকাল আর বিরহে যাপন, এ জীবন
সীমান্ত নিঃশ্বাসে নিতে চাই একটু স্নেহময় সুশীল পবন।

ফিরে এসো অণু অজানারে ফেলে, নিয়তিরে নিয়ে সাথে
যা হবার হবে একসাথে রবে, হাত রাখো হাতে।

তোমার এ হাত এ স্পর্শ পুঁজিবো, আমি যতদিন বাঁচি
নিয়তির সাথে বিদ্রুপ নেই কভৃ, রবো কাছাকাছি।

ভালোবাসা প্রতিজ্ঞায় প্রেম, শেষ কথা শোন
উৎসর্গ এ হৃদয় স্নেহের ভান্ডারে তব, প্রশ্ন নেই কোন।।
76 · Jun 2020
আমার সংশয়
Samar Bhowmick Jun 2020
সমর ভৌমিক
28 জুন 2020; 00:25

সত্যি কি কেউ ভালোবাসতে জানে অণু?
পঞ্চাশ বসন্তের প্রান্তে এখনও সংশয়ে-
যদিও ভালোবাসার অভাব বোধকরে হৃদয়,
ভালোবাসা হোক সংশয়হীন পানীয় জল-
অকাতরে বিলিয়ে হৃদয় নিরাপদ হোক,
স্বার্থের উর্দ্ধে কেউ অন্তত বলুক; তুমি!!

স্নেহগুলো হৃদয়ের তাপে সেদ্ধ হলে-
স্বার্থের রোষানলে তিক্ত ত্যাজ্য শূণ্য প্রয়োজনে,
মোহে দায় চাপিয়ে জ্ঞাণীর জ্ঞাণ-
পাশকেটে চলে যায় অচেনা দ্রুতযানে।

অণু দ্রুতযানে তুমি চড়েছো কখনও-
কাকের কা’ কা’ শব্দে মা’ মা’ শুনতে পেলে,
বদলে যায়নি তোমার হৃদয়ের আঙ্গিনা নতুন সবুজে?
মনে পড়েনি তির্য্যলতা তোমার স্নেহের অপেক্ষায়
আর- অপেক্ষমান কোন পুরুষ তোমাকে চায়?

সবুজের সমারোহে ভালোবাসা দেখি অণু-
দেখি বর্ণিল ফুলের বাগানে বাগানে-
ফুলে ফুলে মৌমাছিতে অগাধ ভালোবাসা-
দেখি জলের ভিতর রুপালী প্রাণের মিছিলে,
দ্যাখো সবুজ উদ্যাণ আজ মরুভুমি প্রায়-
অগণিত গলাকাটা ফুলের লাশ বাজারে বাজারে,
মৌমাছির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় ভোগের ছিপি আঁটা বোতলে-
জলকেলি খেলা রূপালী লাশেরা তৃপ্তির টেবিলে।

দেখেছি কষ্টের আঙ্গিনায় ভালোবাসা বিবর্ণ হতে
সুখের স্রোতে ভালোবাসা দোল খায়- দোলা’য়,
যেন নিরাপদে নিরাপদ থাকার কুটিল সখ্যতায়-
গোপনীয় গোপন প্রয়াসে আঁধারের বিশ্লেষণে
গণিতবিদের গভীর ব্যাখ্যায় প্রণতি জানানো মন,
কোন কালেই আমার নয়-

দেখছি প্রাণ বাঁচাতে ভালোবাসা মেঘের আড়ালে
বেঁচে থাকা শিল্পময় শরীরে স্বপ্রনোদিত প্রেম-
অদ্ভুত হৃদয়োষ্ণ সংগাহীন আবেদনে গোলাপী প্রলেপ
ক্ষমা করো আমায় তপ্ত বিলাসী মন-
অনাহারক্লিষ্ট দেহে ক্ষুধার্থ আত্মায় ঘুমের ঘোরে,
না আসুক সেই রহস্যাবৃত গোলাপী প্রলেপ।

অণু কি করে বলি- বলো? কি করে বলি-
ভালোবাসা প্রশ্নহীন উদ্যেশ্যহীন ঈশ্বরে অর্পিত,
প্রশ্রয়ে আশ্রয় নেই কোন অসভ্য সত্ত্বার,
অজস্র মতান্তরে নগ্নতার স্তুপে দেখেছি বহুবার-
ভালোবাসা গন্তব্যহীন নয়- সীমারেখাহীন নয়,
অনন্ত ইচ্ছার অভিপ্রায় নয়- আসক্তি নয়,
প্রচ্ছন্ন উদ্যেশ্যের পরোক্ষ খেলায়-
ভালোবাসা বলে আছে কিছু, আমার সংশয়।
76 · Apr 2020
শিরোনাম
Samar Bhowmick Apr 2020
আষাঢ়ের বৃষ্টি ভেজা রাত
খাটের উপর ক্লান্ত মুখে শুয়ে
বলি দিতে হাজারো স্বপ্ন
ঘুরে বেড়াই বন পাহাড় জল
আলোচনা পরিকল্পনা নিরব সংলাপ
একাকী…
অণু; কি অদ্ভুত দ্যাখো
আমি তোমার কথা শুনতে চাই
তোমার অবয়ব নাক ঠোঁট গাল কন্ঠস্বর
অবাস্তব…
সার্বভৌম সময় প্রবাহিত হয় মনখারাপের দিকে
সভ্যতার দরজা বন্ধ
অথচ এর মধ্যে আমাদের প্রেম
জ্বলে উঠে ঝলমল ঝকঝকান
নিরব আধাঁরে ঢাকা উপচে পড়া শুভেচ্ছা
এবং তোমার চোখ মুখ হাস্যউজ্জ্বল চেহারা
তারপর তুমি আর তোমার মধ্যে
আমি দ্রুত ঘুরে বেড়াই
কখনও দূরে
কখনও জীবনের শিরোনামে
যা মায়ের মতো সীমাহীন।।
Samar Bhowmick Apr 2020
আমি আস্তে আস্তে নির্ধারিত গন্তব্যে চলে যাচ্ছি অণু
বকের মতো শাদা মেঘ পেরিয়ে সীমান্তের ওপার
স্নেহ মায়া মমতা আর প্রেমময় শ্রদ্ধাবোধের
সহস্র চিহ্ন রেখে যাচ্ছি হৃদয়ে তোমার।

ফেলে যাচ্ছি মায়ায় আঁকা নশ্বর মায়াপুরী
অগনিত প্রেমের সবুজ জমিন
আকাশের মতো উদার তোমার স্নেহের ভান্ডারে
যদিও জানিনা আদৌও তোমায় দিয়েছি কি কিছু!!

চোখে অজস্র জলরাশি অথচ অনন্ত পিপাসায়
মাকরসার জালের মতো জড়িয়ে থাকা সম্পর্কগুলো
যজ্ঞের অগ্নিতে ভষ্মীভুত হবে ধীরে ধীরে
ছন্দে ভরা ষড় ঋতুর অফুরন্ত সুশীল বাতাস।

তোমার চোখ থেকে চেয়ে নিই একবিন্দু জল
ফুসফুস হতে চেয়ে নিই তোমার একটি দীর্ঘশ্বাস
আর কন্ঠনালীর কাছে খেকে এক টুকরো শব্দ
উন্মাদ আত্মার অনন্ত ক্ষুধায় তোমার একটু শব্দে
পথিমধ্যে বাসর সাজাই ধুলোমাখা স্বপনের।

আমাদের প্রেম আর মোহান্ধ জগতের মায়াবী টানে
আমি যতোবার প্রার্থনায় গিয়েছি ইচ্ছা অনিচ্ছায়
রুগ্ন আত্মার রুগ্ন বিশ্বাস-ভয়ে অভিনয়ের ঢল
নিজেকে ভেবেছি সর্বজান্তা মৌলিক আদর্শ ক্ষয়ে; ভাবিনি
পুনরোত্থান দিবসে অনিশ্চিত হবে স্বর্গীয় ঘন্টাধ্বনি।

আজ আত্মায় অবিরাম বৃষ্টি ঝরে অণু
গন্তব্য নিশ্চিত জেনে মন কষ্টের হাসি হাসে
ছিঁড়ে যায় নরোম বাধঁনে অন্তরের রশি্
আপন সত্বায় আমরা এতো কাছাকাছি
ওপারে স্বর্গ না হোক; তবু যেন একসাথে বাঁচি।।
Samar Bhowmick Apr 2020
রঙিন কথায়
যথায় তথায়
দিয়ে তুমি ফুল
জীবন সীমায়
ভাবনা তোমায়
দেখাবে সকল ভুল।

ভুলের বিষে
আফসোস মিশে
ঝরবে চোখের জল
খুঁজবে একা
পথের দেখা
হারাবে মনোবল।

রঙিন কথায়
যথায় তথায়
করোনা কেহ ভুল
ভুলের মাশুল
করতে উসুল
পাবেনা কোন কূল।

জ্ঞানের আলোয় পথ দেখো
গুরুজনে শ্রদ্ধা রেখো
বিবেককে দিও মূল্য
আবেগ খুব অহংকারী
যথেষ্ট ব্যবিচারী
খুনী সমতুল্য।

যাচাইয়ে নিজের জ্ঞান
অণু’র মতো সপিও প্রাণ
মানবতার তরে
কুয়াশায় ভাসালে তরী
করে তরিঘড়ি
আটকেও যেতে পারে চড়ে।

আবেগে বুদ্ধিনাশ
ঢেকে আনে সর্বনাশ
বুঝবার সময় বুঝি নাই
ধীরস্থির ভেবে
সামনে এগুবে
সফলতা যদি চাই।
Samar Bhowmick Apr 2020
সফেদ সাদা মুক্তোর দাঁতে
অনু’র মিষ্টি হাসি
আমার উড়ন্ত সুখ
পছন্দ করি ভীষন
তাঁর সুখকর অনুভুতি
ভারী জীবন থেকে
যখন;
স্বস্তি বেছে দেয়
ঘৃনায় জড়িত
ট্রল থেকে
মুক্ত হৃদয়
আমার মনে মনে
দুঃখ পাওয়া
সংবেদশীল মন
অণু’র হাসিতে ডুবে
তখন;
আমার সাধারণ আত্মা
অণু’র কাছে-
নিরীহ হয়ে উঠে
আর;
সব সময়-
স্নেহ প্রার্থনা করে
প্রেমের শক্তি খুঁজে
নির্মল হাসিতে।
Samar Bhowmick Aug 2020
সমর ভৌমিক
12 আগষ্ট 2020; 01:52
.
স্নেহের অন্তরালে অণু’র ভালোবাসা
পূর্ব দিগন্তে প্রথম সূর্যের মতো
অথবা আকাশ জুড়ে যেমন খুশি মেঘ
সূর্যের সাথে লুকোচুরি খেলা।
.
উজ্জ্বল এবং আনন্দদায়ক রঙে
গহীণ হৃদয়ের কোনে মুমুর্য়্ উত্তাপ
দিন এবং রাত্তির নিপূণ নির্জনতায়
চুমু দেওয়া স্মৃতির কার্নিশে।
.
আত্মা উষ্ণ নভোচারী হয়ে
মেঘ ও কালোমেঘের ভেলায় চড়ে
অণু’র আকাশে উঁকি দেয়
রোদ্র স্নানের জন্য।
.
প্রেমে ঝড় বহে গোপন হৃদয়ে
দীর্ঘশ্বাসের গর্জন আত্মার চিৎকারে
বাণ ডাকে নোনা জলের স্রোত
বজ্রপাত অনুভূতির অন্ধ ভবিষ্যতে।
.
সত্যিকারের প্রেম প্রতিহত করে
সমস্ত জাঁকজমকপূর্ণ মেঘের মেলা
অপেক্ষায় স্থির থাকি মেঘের আস্তরনে
জানি সূর্যাস্তের পূর্বেও সূর্য সুন্দর।
.
মন গোলাপী মাতাল হলেও
প্রেম সর্বদা জিতে যাবে,
প্রলয় কিংবা ঝড়ের মধ্যে-
আশায় রাখি অণু’র কিরণ।
Samar Bhowmick Apr 2020
দু’হাত ভরে করছি কামাই
কত আমার গুণ
হাসি মুখে করছি আমি
মানবতা খুন।

লম্পট হ্ওয়ার সুযোগ কিন্তু
পরিবার থেকেই আসে
যোগ্যতার চেয়ে সবাই বেশী
সম্পদ ভালোবাসে।

নিজে যখন আয়নায় দেখি
নিজের প্রতিবিম্ব
চোরা ছ্যাচড়া ভাবি কেবল
তবু কত দম্ভ।

আসলে আমি ছাই কেবল
ময়লার একটা স্তুপ
সম্পদের গরম নেই শরম
সমাজও থাকে চুপ।

এত সুন্দর মিথ্যা বলি
কলি যুগের কৃষ্ণা
ভাব দেখিলে মিটে যাবে
সবার সকল তৃষ্ণা।

আয়ের উৎস প্রায় খেয়েছে
বিবেক বুদ্ধি মন
চরিত্র খানা খেলো বাকি
নইতো মানুষ মহাজন।

দেখছো আমায় যেমন তোমরা
আমি তেমন নই
নানান সময় নানান কাজে
একেক সাজে রই।

প্রার্থনা আমি করতে হলে
সচ্ছ অন্তর চাই
অন্তর আমার বহু আগেই
বেসাত হয়েছে ভাই।

চোখে ভাসে কুকীর্তি আমার
ভাসে ক্ষণে ক্ষণে
প্রার্থনার মুখ নেইতো আমার
সুখ নেই মনে।।
Samar Bhowmick Jul 2020
শামুকচুমু
সমর ভৌমিক
19 জুলাই 2020; 02:54
/
প্রকাশ্যে হারিয়ে যাওয়ার দিনটি ছিলো ভালোবাসায় ভরপুর
আলোকিত প্রাণের আকুলতায় অণুর হাতে হাত রেখে,
অজান্তেই প্রতিজ্ঞারত মন আনমনে বলেছিলো-
ভালোবাসি; অবিকল আমরা আগামী অনন্তকাল।

হাতে হাত রেখে স্বর্গের সুর শুনেছিলাম বুকের পাটাতনে
নিউরণের কোষে খুলেছিলো প্রেমের অ্যালবাম-
আত্মার যৌতুক অণু’র প্রেমে ঘুরেছিলো সময়ের চাকা,
এবং পেতে চাই ভাবনা, এতটা আনন্দ আগে দেখিনি।

অণু’র স্পর্শ ঝলকানি দিয়ে অনুভবে আগুন জ্বালিয়ে
ফুলের রেণুর মতো কোমল আহ্লাদ জমেছিলো বুকে,
আগবেগের শব্দহীণ লিরিক্স নিয়ে বকবক করা স্বপ্ন-
উড়ে যেতে চেয়েছিলো হৃদয় এককরা কোন দূরদেশে।

এভাবেই হাঁটছিলাম যৌবনদীপ্ত পৃথিবীর পথে;
সময় বুড়ো হলেও চেয়েছিলাম ঝড়ের ঝড়ো হাওয়া,
আর; ভর বর্ষায় শ্রাবণের রোদে ভেজা বৃষ্টিতে-
নবীন জলের নবীন পদ্মপাতায় শামুকের চুমু।
74 · Apr 2020
ত্রুটি
Samar Bhowmick Apr 2020
সরল বিবেক বোধের প্রানবন্ত শব্দে
তুমি একজন প্রানবন্ত মানুষ
হৃদয়ে খচিত আমার একমাত্র ভালোবাসা
কিছুতেই কখনও তুমি বোঝা নও
ভালোবাসা আমার দুর্বলতাও নয়
এ এক অন্তস্থ স্নেহের অসীম ব্যথা
যা তুমিও বহন করে চলেছো অনন্তের পথে
যদি আমি নরকে যাই সেখানেও তুমি
সময়কে যেখানেই নামিয়ে দেয়া হোক
সেখানেই অণু আমার সাথী।

তুমি একান্ত ভালোবাসাময় নারী
অনন্ত দুরত্বে থেকেও
তোমাকে দেখি অন্তরের খাঁচায়
অবিরাম ভালোবেসে যাই
মোহে হৃদয় ভাঙে না কখনও
তার মধ্যেই যদিও অসহায়ের মতো
সৌন্দর্য্ দেখার আশা করি
আশা করি প্রাণের সৌন্দর্য্ দেখাবার।

কিন্তু উলঙ্গ সমাজ সভ্যতার দৃষ্টিহীন চোখ
কাছে টানে আমাদের সামান্য ত্রুটি গুলো
তুমিও জানো অণু
কিছু সুক্ষাতিসুক্ষ ত্রুটি থাকে
সকল যুগের সকল মানুষের
বিভৎস সমাজ সভ্যতা ভাবলেও
আমার মন এতটাই শক্ত
স্বচ্ছ মানবিক বিবেক বোধে
দ্যাখো সেদিন দূরে নয় আমাদের
আত্মার সরল সৌন্দর্য্ শক্তির কাছে
হার মানবেই বর্বর সভ্যতা
আর সুক্ষাতিসুক্ষ তুচ্ছ ত্রুটি গুলো।
Samar Bhowmick Jun 2020
সমর ভৌমিক
16 জুন 2020; 00:06

অণু অন্তর নিয়ে গেছে-
আমি এখনও তাঁর দিকে তাকিয়ে,
তাঁর চোখের দিকে; এবং
তাঁর পছন্দের রঙের দিকে তাকিয়ে।

অপেক্ষা করছি ভবিষ্যতের,
কালো এবং অভেদ্য-
মরিয়া হয়ে খুঁজে চলেছি পথ,
যেন আশাহীন অন্ধকার।

আশায়; রোদের দরজা খোলবে
আঁধার কেটে ফোটবে কমল-
আহত অশ্রুজলের আবরণে ঢাকবে
কান্নার পাহাড়।

অপেক্ষায় শব্দ গুনছে হৃদয়-
দুঃখের দরজায় স্বাগত জানাতে,
সর্বশেষ নিরবতায়; যদি-
দুর্ঘটনাক্রমে ফিরে আসে প্রেম।

অচেনা একাকিত্ব শোকের কালো রঙ
ভাঙ্গা কাঁচে হৃদয় ছিঁড়ে-
বুকের ভিতর আঁকছে,
ক্রুদ্ধ ফোঁটা।
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু’র মোহময় সুগন্ধি শব্দ গুলো
জেগে উঠে হৃদয়ের অন্তিম কোণে
ফুসফুসে দীর্ঘ শ্বাসের ঝড়
আছড়ে পড়ে আত্মার কার্নিশে
স্মৃতির নোনা ধরা দেয়ালে।

দীর্ঘশ্বাস নার্গিসের কুন্ডলি পাকায়
দৃষ্টি সমুদ্রে নোনা জলের ঝড়
চারিদিকে ঝড়ের আগুনে পোড়া
হৃদয়ের কটু গন্ধ।

ঝড়ের থাবায়
একটা একটা করে স্মৃতি
কক্ষচ্যুত তারার মতো খসে পড়ে
প্রেমের পথ পেরিয়ে বিরহ বাগানে
পাথরের মতো জমে থাকা স্বপ্নের স্তুপ
ভালোবাসা নিরব দর্শক যেন।

দশ মিলিয়ন নিউরনের ঘরে ঘরে
অণু’র শব্দ বাঁধা পড়ে আছে
মস্তিস্কের সরস ভুমিতে
সময় সংখ্যায় রঙ বদলেছে স্মৃতি
আবির রাঙা অনু’র স্মৃতি এখন
গাঢ় রক্তাক্ত লাল।

আর চিন্তার শব্দরা সব
নিউরণের বেতার বার্তায়
চব্বিশটি হাঁড়ের খাঁচার ভিতর
পাঁজরের ভাঁজে ভাঁজে আঁকা বাঁকা পথে
তীর খুঁজে রক্তের কলরবে
অসহ্য অপেক্ষা যেন
অনন্ত নিদ্রার।।
Samar Bhowmick Apr 2020
মনের ঠিকানা নেই
উদ্দেশ্যহীন গন্তবে নিরন্তর উড়ে চলা
অণু’র দ্বারে কড়া নেড়ে পড়ে শোনাই
খাম খোলা বিবেকের চিঠি
অন্ধ চোখ বন্ধকরা অতীতের
বিশ্বাস ভালোবাসায় নিপূণ গল্প
ধ্যান আর জ্ঞানের আশ্রয়
বেচেঁ থাকা ভালোবাসাময় কাশবন।
সন্দেহ অবিশ্বাসকে সাথে নেইনি কখনও
রাতের আঁধারকেও বাহারী রঙে দেখি
যখন অণু আমার ভাবনায় সত্যের সাজে
জানি দিনের আলোয় রাস্তার পাড়ে বসে
পুরুষ বেশ্যারা লজ্জ্বাহীণ বলবে প্রেম
তাদের ঘৃনার তী্ব্রতায় লজ্জায় মাথা ঢাকবে গর্ভধারিনী।
ভুলের শুরু কোথায় কারো জানা নেই
কখনও না কখনও জ্বলবেই সেই আগুন
কিন্তু মাশুল নয় বলি অর্জন
এমনই জ্বলছি ভাট্টির আগুনে
তবু ফিরতি খাম খুলে দেখি: প্রেম
জানতে চাই অণুর কাছে
বার্তায় কি অর্জন আছে আমাদের।
মেয়াদউর্ত্তীর্ণ সময়ের ভালোবাসায়
অণুর অন্তরের গল্প আমাকে ভালোবাসে
দেখায় হৃদয়ে মানবতার নানা অলি গলি
আলোর আশায় জোনাকীর আশ্রয় চাই
যে যন্ত্রনায় যৌবন পুড়েছে;
পুড়েছে সকাল দুপুর বিকেল
কিছুতেই সেখানে ভালোবাসা ফেরাতে পারি না
উপহার দিয়েছি নিয়ম জড়ানো লাশ।
সুখময় স্মৃতির অতীত নেই
আছে অন্ধ বোবার তীব্র যন্ত্রনা
বার্ধক্যের কাছাকাছি ছিড়ে যাওয়া জীবনের জমিনে
এখন অণুর সুতোয় দু’একটি রঙ্গীন আল্পনা
কল্পনায় ভাসে, সুঁচের আঘাত ছুঁবে না কখনও
শুধু হৃদয়ের ভাজেঁ লুকিয়ে রাখা।
দীর্ঘশ্বাসের ঘরে যায় আসে প্রেম
মনের বারান্দায় দায়িত্বের বেড়াজাল
আনমনা বিশ্বাস অণুকে ভালোবাসে
অবিরাম পাওয়ারী চশমায় খুঁজে তার হাসিমুখ
বুকের জমিনে চাষকরি ভালোবাসা।
হোক ভুলের হোক ঘৃনার হোক কষ্টের হোক বেদনার
নিতান্তই আমার ভালোবাসা
পথের পাড়ের বেশ্যাদের কথায়
আমার কিছু যায় আসে না।
আমি বুকের সিন্ধুকে সাজিয়ে রেখেছি
অণু সুখের চিঠি
সময় মতো তুলে নিও
খামভর্তি ভালোবাসা।
Samar Bhowmick Jun 2020
সমর ভৌমিক
26 জুন 2020; 00:34

অণু কান্নার ছোয়াছে ছোঁয়াগুলো সরিয়ে আত্মা প্রলুব্ধ করুক
হৃদয়ের আগুনে পা রেখে স্নেহের সুনীল গ্রহন করো নির্দ্বিধায়,
প্রেমের গর্জনে আগুন জ্বলে উঠুক মনের সুশীতল সমুদ্রে
তোমাকে ছাড়া নাহোক আমার অবুঝ চুমু; নাহোক ভালোবাসা।

আমার অন্তরাত্মাকে ভালোবাসার প্রেমে ফেলেছো
হৃদয় স্পন্দিত করে উত্তাল সমুদ্রে,
তুমি অর্ন্তবাসের মতো জড়িয়ে থেকে
হাতে নিয়েছো আমার অসমাপ্ত গন্ত্যব্যের টিকিট।

হাসিতে পরীর শুভ্রতা দেখে অবাক হওয়ার মুহুর্তেও-
ভালোবাসা মেশানো প্রেমের সুক্ষম পরিমাপ পাই,
এবং আমাকে অতি আড়ম্বরপূর্ণ উত্তেজনায় ভাসায়
ভঙ্গুর হৃদয় তোমার ইশারায় তেজদীপ্ত হয়ে উঠে।

আকাশ পাতাল আর পৃথিবীর সকল ফুলের অন্তরালে
পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের উত্তরের মতো ভালোবাসি
চঞ্চলতার প্রার্থনা করা ঈশ্বর জানেন, তুমি-
হৃদপিন্ডের কম্পন রক্তের উষ্ণতা হাসিমুখের প্রশ্ন।

একহয়ে আছে্ ঈশ্বরের প্রার্থনা প্রেম তোমার ভালোবাসা
মখমলে মিষ্টি মধুর হৃদয়ের বিছানায় শুয়ে আছে
আগুনের তেজস্বী পোষাকে আমার প্রেমের ঝড়
মনের বাগিচায় ঘাসের কচিপাতায় অজস্র শ্রাবণ।

দিঘির জলে রোদের ঝিলিকে যে অন্তহীন হাসি
তুমি নিমিশেই ঢেলে দিতে পারো বহুগুন ঠোঁটের ভাঁজে,
তোমার ফিসফিস শব্দ গহিনে ঝরায় শান্তির জলপ্রপাত
স্নাযু কোষের পাতায় পাতায় স্বপ্নের মধ্যে স্বপ্ন বুণে।

বুকের খাঁচার নীচে মনকে জড়িয়ে রেখেছো অণু
রোমঞ্চ গড়া দিগন্তের মতো বর্ণিল সুতোয়,
শুধু কপালের ভাঁজে তুমি অদৃশ্য অক্ষরে লিখে দাও
প্রাণের অধিকারে তোমার প্রেমের স্পন্দন।
Samar Bhowmick Apr 2020
মনুষ্যত্ব ভালোবাসা এত সহজ নয়
মনুষ্যত্ব ভালোবেসে লোভ কর ক্ষয়।।

পার্থিবতা মুল্যহীন মানব জনম বৃথা
বেঁচে রবে পশু তুল্য পশুর হবে মিতা।।

মানব জনম একবার আসে সত্য পথে চলো
সঠিক কাজটি করে যেও সবাইকে তা বলো।।

ধনী গরিব ছোট বড় একজনেরই সৃষ্টি
সকল প্রাণ আপন হবে রাখিলে এক দৃষ্টি।।

এক আকাশ এক বাতাস ভুলে কেন যাও
সম চাঁদ সম পানি সম আলো পাও।।

ভাষা গত তফাৎ যত কান্না হাসির নাই
স্রষ্টার দান সকল সমান তফাৎ কোথা পাই।।

অন্তর চোখে দুনিয়া দেখে পাড়ি দাও পথ
স্রষ্টা বিনে সাধ্য নাই সৃষ্টি করে মত।।

মতে মতে অমিল হলে বন্ধু ভাবটা রাখো
তোমার মতে তুমি চলে আপন স্রষ্টা ডাকো।।

বিশ্বাস করো স্রষ্টা দিলেন পথ জনে জনে
যাহার মতে সে চলিবে বিভেদ নাহি মনে।।

সাদা কালো লম্বা বেঁটে সব তাহাঁর সৃষ্টি
কে ঘৃণ্য কে আদুরে দিও না সেদিক দৃষ্টি।।

তাঁহার জগৎ যেমন খুশি আনন্দ যদি পান
আমরা কেবা করবো ঘৃণা তাঁহার অবদান।।

স্রষ্টার নির্দেশ মানতে হবে ভালোবাসে সব
মানুষ প্রাণী পাহাড় নদী পাখির কলরব।।

তবেই তিঁনি খুশি হবেন স্নেহ করবেন দান
মানবতার নিলে শিক্ষা পাবো স্বর্গের ঘ্রাণ।।

স্বর্গ ঘ্রাণ প্রাণে ভরে অহংকারী হই
মনে রেখো পশু হলাম মানুষ কিন্তু নই।।

শত বর্ষের মুজিব আজি মনে বাঁধোক বাসা
পূর্ণ হোক আমার তোমার মানুষ হওয়ার আশা।


মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে
নতুন প্রজন্মের জন্য লিখাঃ-
17 মার্চ 2020
Samar Bhowmick Apr 2020
ঋতুর কথা ভাবছিস অণু
কোন ঋতুতে পৌষ
আমি ভাবছি মনে কথা
কখন হারায় হুশ।

তুই আমার ফাগুন সখা
তোর মধ্যেই শীত
তুই আমার শরৎ হেমন্ত
তুই প্রেমের ভিত।

ঋতুর কথা ভাবছিস অণু
কোন ঋতুতে মাঘ
আমি ভাবছি মনের কথা
তুই মনের অনুরাগ।

তুই আমার গ্রীষ্ম বর্ষা
তুই অন্তরের মন
তুই আমার জামের জৈষ্ট
তুই প্রানের ধন।

ঋতুর কথা ভাবছিস অণু
কোন ঋতুতে আষাঢ়
আমি ভাবছি মনের কথা
তুই যে ভালোবাসার।

তুই আমার আশ্বিন কার্তিক
তুই বারো মাস
তুই আমার সকল ঋতু
তু্ই যে সর্বনাশ।।
70 · Jul 2020
উষ্ণ হৃদয়
Samar Bhowmick Jul 2020
সমর ভৌমিক
09 জুলাই 2020; 01:04

আশা হারাবো না অণু
বরং আরো জেদী হবো-
যদিও সম্মূখ দেখতে পাইনা,
দেখতে পাইনা আমাদের ভাগ্য,
কিন্ত মহান প্রেমের জন্য-
সেখানেও নির্দিষ্ট স্থান থাকবে।

সাদা বরফ গলা জলের মতো
অথবা আষাঢ়ের বৃষ্টির মতো,
আজন্ম ভয় ধুয়ে দিয়ে-
রুগ্ন সভ্যতাকে পিছনে রেখে,
আত্মাকে কাছে টেনে ফুসফুসের বাতাসের মতো,
বুকের খাঁচায় আড়াল করো প্রেম।

আমার হৃদয়ের ভাবনার মতো
যদি তুমি হও-
অন্তর কাঁপিয়ে আনন্দে হাসো,
টেনে নাও বুকে-
দ্যাখো রোদের মতোই স্বর্ণালী,
তোমার মতই উষ্ণ হৃদয়।
Samar Bhowmick Apr 2020
সন্দেহ আমার কৃত্রিম করোনা দুনিয়া গ্রাসের জন্য
চায়না সৃষ্টি করেছে ওহানে নিজেদের করিতে ধন্য।

স্নায়ু যুদ্ধে হেরে গিয়ে করেছে হয়তো পণ
কাড়বে তারা বিশ্ব অর্থনীতি কাড়বে দুনিয়ার ধন।

কুটকৌশলে সারা বিশ্বে হয়তো ছড়িয়ে দিলো তাই
মৃত্যু ভয়ে পালাবে সবাই দেখার কেউ নাই।

বার দিনে মস্ত মস্ত হাসপাতাল তারা বানিয়ে
দুনিয়া জুড়ে পাগল সবাই খবরটা গেল জানিয়ে।

কেউ বুঝতে চায়নি আজও কেমন করে কি
ঘুমিয়ে রইলো সারা দুনিয়া নাভিতে মেখে ঘি।

চায়না মাথার চায়না পেজগি বুঝলো না তো কেহ
চায়নার স্বার্থে দিতে হবে সবার আপন দেহ।

তারাই দুনিয়ার শাষক হবে এটাই হয়তো পণ
তাবৎ দুনিয়া মেধাশুণ্য হবে কাড়বে তাদের ধন।

এখনও সবাই প্রশ্ন করো ওহান প্রদেশ গিয়ে
করোনা সৃষ্টি জানতে চাও জাতিসঙ্ঘকে সাথে নিয়ে।

জানতে চাওয়ায় দোষ নাই ঘটেই যখন গেল
হঠাৎ করেই চাইনিজরা দেখো করোনা মুক্তি পেলো।

সন্দেহ আমার হচ্ছে ভাই চায়না বুদ্ধির খেলা
বিজ্ঞনী সব ওহান যাও করিও না হেলা।

আরো যদি থাকো বসে দিন সপ্তাহ মাস
বিশ্ব অর্থনীতি পঙ্গু হবে কাটবে ঘোড়ার ঘাস।

মরছি নাহয় মরেই যাবো খবরটা তো নাও
কোথায় কখন সৃষ্টি হলো জানতে আমায় দাও।

প্রাণ যাবে বিশ্ব বাসীর রোগ জীবানু দিয়ে
চায়না হাসবে মুচকি হাসি সাহায্যের হাত নিয়ে।

মেধা প্রজ্ঞা গিলে খেয়ে জ্ঞানীরা সব বসা
গুহার ভিতর কাটছে সময় যেন শনির দশা।

বিশ্ব নেতার বুদ্ধি দেখে অবাক হলাম আমি
প্রশ্ন একটা করলো না কেউ ভেবে ভেবেই ঘামি।

ব্যাখ্যা দিতে চায়না বাধ্য ঘটেছে তাহার ঘরে
ওহান দিবে তথ্য প্রমাণ জাতিসঙ্ঘ যদি ধরে।

পরীক্ষায় তারা সফল হলেও বিফল হয়েছে বিশ্ব
ভাবো মনোযোগ দিয়ে দেখো পৃথিবীর কি দৃশ্য।

সন্দেহ আমার বাঁধছে দানা কীর্তি কলাপ তাই
খবর তোমরা নিয়ে দেখো মিলতেও পারে ভাই।।


28 মার্চ 2020; 03:19, ঢাকা, বাংলাদেশ।
70 · Aug 2020
দোরগোড়া
Samar Bhowmick Aug 2020
সমর ভৌমিক
29 আগষ্ট 2020; 00:04
.
আমার শব্দে আবেগের সাঁতার ছিলো-
গোঙানোর স্রোতে কিছু বলতে পারছিলাম না,
নদীর মতো প্রবাহিত অশ্রুর স্রোত-
গলার ভিতর প্রেমের গুমোট চিৎকার3,
কতটুকু স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখে তা দেখতে
কাল রাতে অণু এসেছিলো,
আমার একাকীত্বের দোরগোড়ায়।
.
কাল রাতে অণু রক্তজবা নিয়ে এসেছিলো,
আত্মার সুন্দর এবং মহৎ ভাবনায়-
হৃদয়ের স্বাক্ষর করা প্র্রেমের সর্বশেষ ইচ্ছাপত্রে
আমি তাঁকে ভালোবাসা লিখে দিয়েছিলাম,
কারণ লজ্জিত কন্ঠের দৃঢ় ফিসফিস শব্দে
সারাজীবনের এই দরিদ্র শরীরে-
কাল রাতে স্বপ্নের মতো বেঁচেছিলাম।
.
যেথানে পুরনো স্মৃতি ফেলে রেখেছিলাম
সেই কষ্টের স্মৃতিগুলো মুছতে যেতে
অশ্রুর দৌড় দরজা পেরিয়ে যেতেই
অনুভব করছিলাম; অণু বলছিলো-
সমস্ত নিঃশ্বাস নিয়ে এসেছি;
আমার একাকীত্বের দোড়গোড়ায়
কাল রাতে অণু এসেছিলো।
70 · Jul 2020
প্রপঁচ
Samar Bhowmick Jul 2020
সমর ভৌমিক
10 জুলাই 2020; 02:29

ফুল আমাদের মনকে উচ্ছসিত করে
অথচ ফুলের জীবনেও ক্ষুধা থাকে,
ফুলের জীবনেও তৃষ্ণা থাকে,
ফুল ক্ষুধার্ত হয় তৃষ্ণার্ত হয়-
তবু তৃপ্ত হতে পারে না।

নিজের হাতে তুলে নেই ফুলের পরমায়ু-
যতটুকুতে ইচ্ছেমতো প্রশান্তি,
ইচ্ছেমতো ভালোবাসা-
কিছুক্ষণ আগেও বেঁচে ছিলো যে ফুল,
স্বপ্ন দেখেছিলো সাধারণ মৃত্যুর।

আস্তে আস্তে মখমলে পাপড়ি গুলো
মাতালের মতো বেহুস, ঢলে পড়ে-
যেন বার্ধক্যের জলশূণ্যতা,
আমরা দীর্ঘশ্বাস অনুভব করি না,
ফুলের ব্যথা অনুভব করি না।

সামান্য সময় পেরোলেই ভালোবাসা উধাও
কুষ্ঠ রুগীর মতো অবহেলায় পড়ে থাকে,
ফুলের লাশ, যেখানে সেখানে-
অথচ যখন দৃষ্টিতে অপহরণ করেছি,
আদর ঘ্রাণ কোমলতা, সব-
অণু’কেও বলেছি, ফুলের মতো তোমাকেও।
Samar Bhowmick Apr 2020
লোভির চোখে দেখোনা নদী
দেখোনা নদীর জল
যতই জোয়ার উৎলে উঠুক
করুক যতই টলমল।

নদীর কূলে বসো বন্ধু
জল ছুঁইও না তার
অথৈ জলে ডুবে গেলে
উত্তরণ নেই আর।

গভীর প্রেমের প্রাসাদ গড়ো
অন্তরের ভিতর
নদীর জলে তলিয়ে গেলে
অশুদ্ধ গতর।

কারন জেনে বারণ শোন
আবেগ করো নিয়ন্ত্রন
নদীর জল তোমার হবে
হলে নদী আপনজন।

হরণ করা মনকে বলো
ধৈর্য্ যেন রাখে
তোমায় জীবমৃত করার আগে্
ঈশ্বরে যেন ডাকে।

বেঁচে থেকেও মরণ হয়
মরন মানে লাজ
আবেগের বেগ সামলে দিও
করোনা এমন কাজ।।
Samar Bhowmick Aug 2020
সমর ভৌমিক
01 সেপ্টেম্বর 2020; 01:03

আমার অণু
গল্পের চেয়েও সুন্দর
পুরস্কারের চেয়েও সমৃদ্ধ
সম্পদের চেয়েও যোগ্য
ভাষার চেয়েও ব্যাপক
সভ্যতার শ্রেষ্ঠ উষ্ণতা।
.
আমার অণু
সময়ের চেয়েও আধুনিক
দিবালোকের চেয়েও উজ্জ্বল
গ্যাসের চেয়েও হালকা
চাঁদের চেয়েও স্নিগ্ধ
সভ্যতার শ্রেষ্ঠ ফাগুন।
.
আমার অণু
মায়ের চেয়ে আপেক্ষিক
মাটির চেয়েও উপকারী
শব্দের চেয়েও মধুর
স্পর্শের চেয়েও প্রবল
সভ্যতার সবচেয়ে রসালো।
.
আমার অণু
অক্সিজেনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ
বজ্রপাতের চেয়েও তেজস্বী
মনের চেয়েও বর্ণিল
ফুলের চেয়েও কোমল
সভ্যতার শ্রেষ্ঠ সুগন্ধি।
.
আমার অণু
মস্তিস্কের চেয়ে উর্বর
কাদার চেয়েও পঙ্কিল
সাধুর চেয়েও শুদ্ধ
জিহ্বার চেয়েও সুক্ষ
আত্মার সবচেয়ে আপন।
.
আমার অণু
কান্নার চেয়েও ক্ষত
কবরের চেয়েও শান্ত
সাহিত্যের চেয়েও সাবলীল
রত্নের চেয়েও দুর্লভ
সভ্যতার প্রথম প্রেম।
Samar Bhowmick Jun 2020
সমর ভৌমিক
11 জুন 2020; 17:54

অণু তাদের বলে দিও
মাদক কলঙ্কের মতো
কেড়ে নিয়ে আশার প্রদীপ
উপহার দিবে ক্ষত।

হেলায় জীবন নেশার ঘোরে
অজান্তে যাবে হেরে
সাময়ীক উন্মাদনায় মত্ত হলে
ভাগ্যটা যাবে ছেড়ে।

ঠাট্টার ছলে মাদকের যাতাকলে
তুমি মাদকের বাড়ী
এককা দুককা করে দিন
আয়ুও যাবে ছাড়ি।

সমাজে আঁকিয়ে ঘৃণার সীমানা
বৃথা যৌবন আশা
সভ্যতার দৃষ্টিতে আঁধার মেশালে
গ্রাস করিবে হতাশা।

মাদকের নেই ক্ষমতা কোন
আনিতে সভ্যতায় জয়
মাদক পারে কেবলি যৌবন
তামাসায় করিতে ক্ষয়।

মাদকের প্রেমে পড়িয়াছে যারা
হৃদয় তাদের শূণ্য
ব্যর্থতাকে নিজের ভবিষ্যৎ ভেবে
অজান্তে হয়েছে বন্য।

বরং ভালোবাসা ভিক্ষা মাগো
হৃদয়ে স্বপ্ন পুষে
যেওনা ঘৃণায় অপমান অভিমানে
নেশার কলঙ্ক দোষে।
সুস্থ থাকাই সুখের বাঁচা
স্বাধীন চিন্তা করে
জ্ঞানে দুঃখ কবর দিয়ে
বাঁচো প্রাণ ভরে।

মানব জীবন বড়ই মধুর
জ্ঞানেই মানুষ পূর্ণ
যদি অজ্ঞানতা প্রশ্রয় দাও
ভবিষ্যৎ হবে চূর্ণ।

মানুষের জীবনে ব্যর্থতা নেই
কেবল অভিজ্ঞতা হবে
আজ কাল পাওনি যাহা
আগামী দিনে পাবে।

প্রেম পার্থিবতা ঈশ্বরের দান
চেষ্টা করো শুধু
বিন্দু করে মৌমাছির দল
সঞ্চিয়েছে কত মধু।

জগতের ভালোবাসা পাওনি বলে
প্রেম নেই তোমার
এমন ভাবনা বোকার কেবল
ঘোর মহা-অজ্ঞানতার।

ভালোবাসায় রেখে প্রসারিত হাত
জাগিয়ে বিবেক বোধ
সভ্যতায় ছড়িয়ে মানবতার ঘ্রাণ
নিবে অনিয়মের প্রতিশোধ।
69 · Jun 2020
তুমি আমার
Samar Bhowmick Jun 2020
সমর ভৌমিক
22 জুন 2020; 15:45

আমার অবুঝ ভালোবাসা-
তোমার বিশ্বস্ত হাত হতে চায় অণু,
বুকে আগলে রাখার মতো একটি হাত,
এবং ইচ্ছের মতো অমৃত একজন মানুষ-
তোমার চাওয়ার মতোই কোমল একজন প্রহরী,
কষ্ট ভুলে থাকা ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত-
সগৌরবে ভালোবাসা সবুজ সতেজ লতার মতো,
জড়িয়ে রাখা কল্পনায় তোমার আত্মবিশ্বাসী প্রেম,
মানবীয় উষ্ণতায় অনুভবে অবিকল সারাজীবন-
যে ভাবে নিজেকে কখনও অনুভব করোনি।

তোমাকে ভালোবেসেছে আমার নির্লজ্জ্ব বেহায়া প্রেম
দশ মিলিয়ন স্নায়ুকোষ আত্মা অন্তর হৃদয়ের গ্রন্থি গুলো,
সন্দেহাতীত প্রেম বেপরোয়া সময়ে জন্ম হলেও-
ভালোবাসার কষ্টকর উপায় গুলো কখনও ভাবোনি,
ভাবনা খুঁজে বেড়ায় তোমাকে পাওয়ার উপায়,
খুঁজে বেড়ায় তোমাকে আবিস্কারের সহজ পথ,
অণু; আমার মধ্যেই তুমি অবুঝ আবেগ-
যদিও প্রাণের চাহিদায় বলেছো বহুবার; তুমি-
সেই রহস্যময় শব্দ শুনে কথা দিচ্ছি,
আমাকে তুমি ভাবতে চাও; তুমি আমার।।
69 · Apr 2020
অরণ্য
Samar Bhowmick Apr 2020
আমি আঁধারের বুকে কেবল আঁধার'ই দেখি
তবু জোনাকির আলোয় খোঁজি অণু'র ভালোবাসা
নিস্তব্ধ নিরব অভিমানে সময়ের পাহাড়
সবুজ পাতা আর ফুল থেকেও ঝরছে আঁধার
চোখের কর্ণিয়ায় সর্ষের ফুল দোলে
আজকাল স্বপ্ন গুলো অণু'কে ঠিক ছুঁই না
নিকট অতীতের মতো বর্ণ বৈভবে
পরশু দেখেছি অণু'র ধুসর বাক্সে
আমার মধুময় স্মৃতি;
এখন ধুসর পৃথিবী আমার
ক'দিন আগেও পানপাতা বটপাতা রক্তজবা
আর আমার বর্ণিল আকাশ ছিলো
চাঁদের আলোতে ছিলো নক্ষত্রের মেলা
অবেলায় অগণতি জয়ের স্রোতে মহা-প্লাবনে
আমার ব্রহ্মাণ্ডে এখন পূর্ণ গ্রাস গ্রহন
শান্তনার আঁচলে বাঁধা স্বপনের পুঁটুলি
আমার গর্বের সঞ্চয় প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা
নীলাভ শিখায় দীর্ঘশ্বাসের আগুনে
অণু জেনে ও জানে না আগুনের রঙ কি
জানে না রাত জাগা চোখের রঙ; স্বপ্ন কথন
জানেনা হৃদয়ের উত্তাপে সেদ্ধ মন
জানেনা নির্জন নিস্তব্ধ পৃথিবীতে জেগে থাকা
ভালোবাসার নকশীকাথায় ফুল তুলতে জানেনা
এখন আর;
সময়ের সদাচারে নিমগ্ন জয় সমাচার
আমাকে অহরহ বুঝিয়ে দিবানিশি
জন্মান্তরের গল্প বলে কবিতায়
আমি এখন সবুজ পাতা আর ফুলের বর্ণ বুঝি না
ধুসর পেরিয়ে গেছে আঁধারের দিকে
তবু শন শন দখিনা হাওয়ায় অণুর ঘ্রাণ খুঁজি
প্রশান্তি খুঁজি কষ্টের শেষ সীমানায়
আর অণুকে খুঁজি জোনাকির আলোয়
আঁধারে ঢাকা রহস্যের অন্তরালে
যদিও জেনে গেছি
ইচ্ছে পূরনের প্রতিশ্রুতি ঈশ্বরের নয়
তবু প্রাচীন বিশ্বাসে অমানিশা কাটার প্রত্যাশায়
আজো আঁধারে স্বপ্ন দেখি
কল্পনায় তারা দেখি
মন নিরুদ্দেশ হয় অণু'র অরণ্যে।

২৬•০৪•২০১৯;০১:৪৬, ঢাকা, বাংলাদেশ।
••••••••♡♡♡••••••••
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; তোমার শব্দ শোনলেই
প্রাণে সুগন্ধি ফুল ফোটে
হৃদয় বহমান রাখে সেই সুগন্ধি
শক্তিশালী করে আমার অপেক্ষার প্রহর
অজানা হতাশা থেকে মুক্তি দেয় অনবরত
আমার ইচ্ছার বার্ধক্য ছেটে তরুণ করে তোলে
আমাকে রুপান্তরিত করে বারবার।
সত্যি বলছি; অণু
এটা অলৌকিক ঘটনা নয়
তোমার শব্দ আমাকে দেয়
বারোটি মাসের একটি বসন্ত
বসন্তেই শরৎ বসন্তেই শীত বসন্তেই বর্ষা বসন্তেই ষড়
আর আমি অনুভব করি তোমায়।
আমার ক্লান্ত শরীর যখন ছুঁয়ে যায়
তোমার লতানো পঞ্চ পল্লব
আমি দুরন্ত হয়ে উঠি সকাল সন্ধ্যায়।
তোমার কাছে অলৌকিক মনে হলেও
তোমাকে বলি ;অণু
তোমার শব্দ স্পর্শে
আমার অন্তর জুড়ে সার্বভৌম শান্তির রাজত্ব
তোমার সেকেন্ডের একটি ছোঁয়ার জন্য
তোমার একটি শব্দের জন্য
আমি পৃথিবীর পাদদেশে অবিচল দাঁড়িয়ে।
67 · Apr 2020
একমাত্র
Samar Bhowmick Apr 2020
আমি অণু'র সাথে এমন একটি সম্পর্কের অপেক্ষায়
আজ না হোক কোন একদিন পৃথিবীর কোথাও
যেখানে ইচ্ছে করলেই অণু আমার গেঞ্জিটাও পড়তে পারে
অথবা রাতে নির্দ্বিধায়
আমরা একসঙ্গে ঘুমাতে পারি এক বিছানায়
বাচ্চাদের নিয়ে খেলতে পারি ছেলেখেলা
অথবা মুখোমুখি বসে শিশুদের সাথে গল্প গুজব
আমি অণু'র সাথে এমন একটা সম্পর্কের অপেক্ষায়
যেখানে পাগলের মতো চিৎকার করে ডাকতে পারি অণু
আর অণু'র শক্ত জোরালো আলিঙ্গনে
থামিয়ে দিবে আমাকে; আমার যন্ত্রণা
অণু আমাকে কাছে টেনে নিয়ে
রুদ্ধ করে দিবে আমার হারানোর পথ; আবার
কখনও ভূতের ভয়ঙ্কর সিনেমা দেখতে দেখতে
আমার বুকে ভয়ার্ত অনুভুতি লুকাবে অণু
অণু'র হাসির জন্য গোপনে গোপন চুম্বন উপহার দিবো
আমি অণু'র সাথে এমন একটা সম্পর্কের অপেক্ষায়
কখনও আবার আমরা সীমিত ঝগড়া করেই
বিরহে জড়িয়ে ফিরে আসবো একসাথে
এভাবেই যাপিত জীবনের সময় ক্ষয়ে
অণু আমায় ভাগ্যবান করে তুলবে কোন একদিন
এবং পৃথিবীর একমাত্র পুরুষ হবো আমি
যাকে শুধু অণু ভালোবাসে
হৃদয়ের পূর্ণতায় হৃদয় দিয়ে।

২৫•০৪•২০১৯;০২:০৮
••••••••♡♡♡••••••••
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু আমার অসহ্য ভালোবাসার আবেশে
কখনও কখনও দিশেহারা শরীর
আমি উপস্থিত হই তীব্র মুহুর্তে
ইচ্ছে করে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ ছড়াতে ছড়াতে
ডুব সাঁতার খেলি সুগভীর অসীম সমুদ্রে
আমি সমুদ্রের পাড় ঘেঁষে নামতে থাকি; আর
আস্তে আস্তে পায়ের তলা থেকে সরে যাক বালি
ভয়ের আস্তরনে ঢাকা শিহরিত মনে
অনিশ্চিত অব্যক্ত শিহরণে
তুমুল ঢেউয়ে দুলিয়ে মন
কয়েক দানা শস্য বীজে সপে দেই ভবিষ্যত
স্বচ্ছ আত্মার দুষিত শরীরে
সেই মিষ্টি নিষ্ঠুর সমুদ্রে।
অণু মনে মনে একবার ঝঙ্কার তোল
মনের গভীরে নিরুত্তাপ মনে
কোন এক শ্রাবণের মেঘলা সন্ধ্যায়
তোমার হৃদয় দুলিয়ে দেখো; ভালোবাসায়
বিরহ বুদবুদের ফেনায়
কত অহংকারী অথচ দুঃখী সমুদ্র।
তোমার অশ্রুসজল ভেজা চোখে
আমার দূরবর্তী চিন্তার আবরণ খোলে
রোমাঞ্চকর শব্দ দাও; আর
আমাকে সমর্থন করো নির্দ্বিধায়
বলো আহ্ নামবে এসো !!
আমার ক্ষুদ্র বুকে ঠোঁটের বিশাল চাবুক চাপিয়ে
তোমার বিশালতার নিরব চিৎকারে
আমি প্রবেশ করবো অন্তিম গুহায়
এক অরণ্য আধাঁরে
আর্কের আলো ছড়িয়ে হৃদয়ে হৃদয়
সংগোপনে ছাড়ি প্রশান্তির নির্লিপ্ত নিঃশ্বাস; আর
একসাথে হাসি হৃদয়ের কানায় কানায়।

৩০•০৪•২০১৯;০১:১০, ঢাকা, বাংলাদেশ।
67 · Apr 2020
পূর্ণিমা
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; আর কতটা কাছে এলে পূর্ণ হবে সমাপ্ত জীবন?
জীবনের হাসি আনন্দ সুখ একাকার হবে চারিধারে
বর্ণিল ফুলের মতো জমা হওয়া স্মৃতির স্তুপ হতে
বাতাসে ভেসে আসবে তোমার প্রেম পুষ্পের ঘ্রাণ
ভালোবাসার বর্ণমালা স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হবে
সোনালী হৃদয়ের বর্ণিল আভায়।

আমার চোখে চোখ রেখে স্বাক্ষী হবে ভালোবাসা
হাতে হাত রেখে পূর্ণতা পেলে স্বপ্ন
উড়ে যাবে হৃদয়ের দগ্ধ ছাই
জড়ো হবে অন্ধকারে খসে পড়া আপন শব্দ গুলো।

আকাশ ছুঁয়ে উড়ে বেড়াবে অদ্ভুত ভালোবাসা
আর অনুভূতি অনুভবের দরজায় টোকা দিতেই
জমে উঠবে প্রেম সচ্ছ বরফের মতো
ছন্দ পতনের ছন্নছাড়া জীবন নত হবে
স্বপ্নের ঘোর ভেঙে দৃশ্যমান বাস্তবতা
মধ্যে রাতে জন্ম নেয়া প্রেমের লাভায়।

আমি তুমি পরস্পর হাতে হাত রেখে
অপেক্ষা মাড়িয়ে নতুন সৃষ্টির ভেতর
দেয়ালে ঝোলানো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
পূর্ণিমার চাঁদের শান্ত রূপালী আলোয়
ভালোবাসার প্রতিবিম্বে দেখে নিবো
আকাঙ্ক্ষিত জীবনের গল্প ।।
67 · Dec 2020
আমার যীশু
Samar Bhowmick Dec 2020
সমর ভৌমিক
25 ডিসেম্বর 2020;23:33
.
ঈশ্বরের শ্বাশত রূপ জানি না
প্রজ্ঞা প্রতিজ্ঞা প্রেমে
অণু'র মোহহীন মানবতা
আমার আদর্শ,  আমার প্রেম।
.
অণু'র কম্পিত ঠোঁটে আপন শব্দে ডাক
সেবার হাতে ছুঁয়ে দেয়া হৃদয়ের সৌন্দর্য
মনের টানে মনে মিশে থাকা মন
আমাকে প্রচন্ড টানে।
.
যৌবনের রক্তে বাণের জল স্রোত
লবনাক্ত ঘামের কামনা রেখে মনে
প্রচলিত মুদ্রার মাতাল ঘ্রাণ
বাসনা পূরণ করে তপ্ত যৌবন।
.
যৌবনের প্রতিজ্ঞা মোহ শূণ্য নয়
বাসর বিহীন যে প্রেম প্রভু'র
আলো ছড়ায় মনের তারণ্যে কাঁচায়
সে প্রেম আমার। অণু'র ।
.
তবুও আমাদের বার্ধক্য ব্যথায়
জুটিবদ্ধ জীবনের কাছে যদি মনে হয়
হার মেনেছে অবাধ্য যৌবন
তখন বলে দিবো ভালোবাসি অণু।
.
অণু'র নির্লোভ আত্মায় বিনম্র শ্রদ্ধাবোধ
অন্তর্গত অদৃশ্য অশরীরী প্রেম
নত হতে প্রেরণা যোগায়
যেন আজ পঁচিশে ডিসেম্বর।
.
প্রকৃতির সাথে পরম স্নেহের বন্ধন
মোহহীন দাবী শূণ্য ধর্ম কর্ম প্রেম
ধৈর্য স্থিরতায় সহজ সরলতা
জানিয়ে দেয় অণু'ই আমার যীশু।
Samar Bhowmick Apr 2020
অন্ধ গেলো ডাক্তার খানায়
কাঁপে থর থরে
ডাক্তার তার প্রেসার দেখে
পথ্য দিলো তারে।

ডাক্তার বলে দুগ্ধ খাবে
ওরে বেটা অন্ধ
তবেই হবে তোমার রোগ
যথারীতি বন্ধ।

অন্ধ বলে ঠিক আছে
কিন্তু দুগ্ধ অচেনা
দেখতে কেমন খেতে কেমন
তাতো জানি না।

অন্ধ বলে জানতে চাই
দুগ্ধের রঙ কি
ডাক্তার তখন পাগল হয়ে
মাথায় ঢালে ঘি।

দুগ্ধ হলো বকের মতো
ধব ধবে সাদা
অন্ধ বলে দেখিনা চোখে
আমি অন্ধ গাধা।

বক কেমন তাই বলেন
ধরি নিজের ভুল
ইচ্ছে করছে নিজের মাথার
ছিঁড়ে ফেলি চুল।

ডাক্তার বলে রাগ করোনা
জন্ম তোমার ভুল
বকের গলা চাঁদের মতো
অর্ধ বৃত্ত গোল।

অন্ধ বলে অর্ধবৃত্ত গোল
প্রথম শোনা মোর
ছুঁয়ে যদি দেখতে পারি
কাটতো আমার ঘোর।

ডাক্তার বলে তোমায় নিয়ে
কিযে বিপদ হায়
তখন নিজেই হাত বাঁকিয়ে
সামনে নিযে যায়।

বাঁকা হাত ছুঁয়ে দেখে
অন্ধ বলে স্যার
খাবোনা এই বাঁকা দুগ্ধ
কি আছে আর ?

দুগ্ধ মানে তরল দুধ
এটা বকের গলা
বকের মতো সাদা হবে
এটাই তোমায় বলা।।
Samar Bhowmick Jul 2020
সমর ভৌমিক
30 জুলাই 2020; 21:54
.
অণু তুমি দ্রুততার সাথে
সমস্ত করুন রঙ ভেঙে দাও,
উর্বর যত অতীত-আর্ত কথা-
মিলিয়ে দাও ধুসর ধুলায়।
.
না বলবে না অণু
এলোভেরার সতেজতা জানাও-
সবুজ সমতল পাহাড় এবং সমুদ্রে,
আমাকে অবমুক্ত করো।
.
এবং লাল সুর্যাস্তে চাই স্নান
কোন লালসার কথা জানিনা-
আমাকে বসন্ত এনে দাও,
নিরাপদ খাঁচায় নিরব নির্জনে।
.
চুপ করে চুপ থাকা শিখে
প্রেমের পথে সুর্যোদয় দ্যাখো,
ইতিমধ্যেই শুকনো সবুজের গায়ে-
ভালোবাসার উল্কি আঁকা।
.
আমাকে বন্দি করো না
বিবর্ণ বিভৎস বিরহে,
বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে এসে-
আমাকে বসন্ত এনে দাও।
Samar Bhowmick Apr 2020
মৃত্যুর কাছে জোড়হাত নয়
করি জীবনের কাছে
জীবনে কত ঘটিয়েছি ত্রাস
তার হিসাব যাচে।

মৃত্যু সমাপ্তি টানবে জীবনের
এইতো জগতের বিধি
ছিলেম যতদিন কাঁদিনি কোনদিন
হয়ে ঈশ্বরের প্রতিনিধি।

কর্ম করেছি ধর্ম ছেড়ে
যাহা ছিলোনা ধার্য্য
কর্মফল ভোগ করিতে হবে
জানি অনিবার্য্।

তুচ্ছকে তাচ্ছিল্য করেছি সদা
ক্রোধের আগুন মেখে।
এখন ক্রন্দন আসে আমার
মৃত্যু সামনে দেখে।

আমায় দেখে ভাবো সবাই
মৃত্যুর জন্য বাঁচি
মানুষ হবো সবার সেরা
হোক মৃত্যু কাছাকাছি।

লোভ লালসা থাকবে মোদের
সত্য রুজির প’রে
আরাম আয়েশ সবই করবো
সচ্ছ হৃদয় ভরে।

সত্য পথে থাকলে সবাই
মৃত্যু যাবে দূরে
যদিও মৃত্যু আসে রে ভাই
স্বর্গে যাবো উড়ে।

সেই মৃত্যু যে পরম পাওয়া
ভীষণ গর্বের ধন
মৃত্যু ভয় থাকবেনা আর
বরং ভরবে মন।
Samar Bhowmick Apr 2020
আরে না অণু কিচ্ছু চাই না
এমন কি তোমাকে ভালোবাসী
তাও তোমাকে জানাতে চাই না
কোন প্রতিদান
কোন প্রয়োজন
কিছুই মেটাতে চাই না
কোন অভিমান ?
কোন স্নেহ ? তা ও নয়
কিচ্ছু চাই না বিনিময়ে
তোমার সাথে আমার কোন শর্ত নেই
তোমার সাথে আমার কোন সিদ্ধান্ত নেই
তোমার সাথে আমার কোন প্রস্তাব নেই
কোন লৌকিক লেনদেন নেই
কোন চাওয়া পাওয়া নেই
কোন যুক্তির দরকার নেই
কোন তর্ক নেই
সন্তনের স্নেহ
সম্পর্কের অধিকার
সমাজের কর্তব্য
আমি গ্রাস করে নেব?
তাও নয় অণু
আমার কাছে তোমার কোন দ্বায়বদ্ধতা নেই
তোমার কাছে আমার কোন প্রশ্ন নেই
কোন অবিশ্বাস নেই
কোন রাগ নেই
কোন অভিমান নেই
তোমার কাছে আমার ভরসার কিছু নেই
তোমার যে কোন প্রত্যার্পণে আমার কোন কষ্ট নেই
তোমাকে ভালোবাসি অবিকল ঈশ্বর
আশাহীণ নিষ্কাম কর্ম আমার
আমার কাছে তোমার কোন দোষ নেই
তোমার কোন অবহেলা নেই
তোমার কোন সংকীর্ণতা নেই
তোমার কাছে আমার কোন প্রাপ্তি নেই
কোন প্রাপ্য নেই
আমার অর্জনটুকু ছাড়া
তোমার কাছে আমার অধিকার নেই
আমার ভালোবাসায়
কোন শর্তের জন্ম নেই, মৃত্যু নেই
আমি ভালোবাসার শ্রমিক নই
আমি অণুর প্রেমিক।।
Samar Bhowmick Apr 2020
সম্মান পুরস্কার যাহাই আনো
সোন্দর্য রূপ লিখে
একবার কি ভাবো কবি
প্রজন্ম তাই শিখে।

কবিদের আমি শ্রদ্ধায় বলি
দুঃখ ভরা মন
নারী দেহের সোন্দর্য বর্ণন
নয় যখন তখন।

নারীর সম্মান আগে ভাবো
প্রেম কাব্য লিখে
প্রজন্ম যেন মায়ের মতন
সম্মান করা শিখে।

নারী পুরুষ সমান মানুষ
একই রকম সত্য
নারীকে যদি পণ্য কর
প্রজন্ম হবে দৈত্য।

যদি ভালোবাসতেই চাও কবি
নারীকে তুমি আজ
মানবিক গুণের কথা লিখতে
নেইতো কোন লাজ।

কবি হলেই নারীর দেহ
সোন্দর্যের অনেক কথা
নারীর আছে বিবেক সম্মান
তুলে আনো তথা।

শিখাও কবি নারীর মানবতা
মানবিক যত গুণ
নাহয় নতুন প্রজন্ম আমার
মানবতা করবে খুন।

প্রজন্মের জন্য লিখো কবি
বাকি যত অনাগত
ঘুচায় যেন মানুষ হয়ে
নারী মনের ক্ষত।

নারীর ভালোবাসা লিখো কবি
কেমন কোমল মন
শ্রদ্ধা শিক্ষা ভাষার আধার
নারী পরম ধন।

সৃষ্টির পরেই তোমরা যাঁরা
লিখছো নারী পণ্য
প্রজন্মের পর প্রজন্ম আজ
তাই করেছে গণ্য।

সহস্র লাইন লিখো যদি
নারী দেহের কথা
একলাইন হয়তো লিখো তোমরা
তাদের কেমন মানবতা।

নারীর প্রতি সংহিসতার দায়
কবি এড়াতে পারোনা
নারী দেহ বিশ্লেষণ করতে
তোমরা কিন্তু ছাড়োনা।

30 এপ্রিল 2020; 19:46, ঢাকা, বাংলাদেশ।
Samar Bhowmick Apr 2020
বুকের ভিতর সীমাহীণ আকাশ
নিঃশ্বাস সেই আকাশের ঝড়
বর্শা বল্লম বা চাবুকের আঘাত
আমি দৌড়াচ্ছি প্রতিনিয়ত
মনের ভিতর জন্ম নেয় রাগ
আর হৃদয়ের ভিতর অণু।

আমি প্রত্যাখ্যান করি হতাশা
জানি মিথ্যা ভালোবাসা থেকে
সূর্য্য সমাহিত হলে
চতুর্দিকে বিশালাকার মেঘ
পৃথিবীকে অন্ধকার করে দেয়।

ব্যস্ততায় নিক্ষেপ করলাম নিজেকে
চোখে বৃষ্টি
অন্তরে শিলাবৃষ্টি
নিজের অজ্ঞানতাকে জাগ্রত করে
বইছে ঝড়ো হাওয়া
সকল ধ্বংস উপরে ফেলতে
কাদা চাই, চাই নরম পঙ্কিল মাটি।

মানুষ ঘৃণার পৃষ্ঠা না ভুলে
ভুলে যায় ভালোবাসা
ভুলে যায় হারানো ভাই
এভাবেই পথ ভুলে যায়
অকারণে বুদ্ধিমান হয়ে
নিজের কাছে নিজেই
স্বার্থ দাবি করে।
65 · Apr 2020
আলো
Samar Bhowmick Apr 2020
আমার অন্তরে লালন করা
ভালোবাসার বীজ
প্রেমের প্রার্থনায়
প্রত্যাশিত মুল্যবান সত্য।

ভালোবাসা যে পথ দিয়ে গেছে
সে পথের প্রতিটি বাঁক
আমি অনুভব করি
এবং তোমার স্বর্ণালী স্পর্শে
সন্ত্রস্ত আকস্মিক চুম্বনে
মানবতার ঘ্রাণ বর্নাঢ্য সাক্ষী।

26 এপ্রিল 2020; 03:03, ঢাকা, বাংলাদেশ।

তোমার মৃদু মৃম্ময়ী হাসির সুর
হৃদয়ে মিশ্রিত লাল অন্তরে
জমে থাকা যত চোখের জল আমার
স্বপনের ঘরের আলো।
Samar Bhowmick Apr 2020
সমর ভৌমিক

ঋতুর কথা ভাবছিস অণু
কোন ঋতুতে পৌষ
আমি ভাবছি মনে কথা
কখন হারায় হুশ।

তুই আমার ফাগুন সখা
তোর মধ্যেই শীত
তুই আমার শরৎ হেমন্ত
তুই প্রেমের ভিত।

ঋতুর কথা ভাবছিস অণু
কোন ঋতুতে মাঘ
আমি ভাবছি মনের কথা
তুই মনের অনুরাগ।

তুই আমার গ্রীষ্ম বর্ষা
তুই অন্তরের মন
তুই আমার জামের জৈষ্ট
তুই প্রানের ধন।

ঋতুর কথা ভাবছিস অণু
কোন ঋতুতে আষাঢ়
আমি ভাবছি মনের কথা
তুই যে ভালোবাসার।

তুই আমার আশ্বিন কার্তিক
তুই বারো মাস
তুই আমার সকল ঋতু
তু্ই যে সর্বনাশ।।
Samar Bhowmick Apr 2020
অদৃশ্য চিত্রপটে আঁকা
আমাদের ছবিগুলো
শোবার ঘরেই রেখো অণু
অদৃশ্য ভালোবাসা গুলো
গণিতের সাংকেতিক চিহ্নের মতো
জীবনের ভাঁজে ভাঁজে
লুকিয়ে রেখো
উচ্চারিত শব্দের বলাকা গুলো
নিঃশব্দে উড়তে দিও
মনের আকাশে
মান অভিমান আর কষ্টগুলো
হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো
মিলিয়ে যেতে দিও
আপন স্নেহের পরশে
আর স্বপ্ন গুলো
তরতর করে বেড়ে উঠতে দিও
কলমি লতার মতো
মনের সরোবরে
দখিনা বাতাসে
দোলে উঠা জলের মতো
একটু ফাগুন দিও আমায়
তুমি আমায় একটু ছুঁয়ে দিও
একটু চঞ্চলতা দিও
তোমার বুদ্ধিদীপ্ত কৃষ্ণসাগরে
পঞ্চপান্ডবকে নামতে দিও নির্দ্বিধায়
যদি পারো অন্তত একবার;
একবার; আলিঙ্গনের অধিকার দিও
আমি স্বর্গ শিখরে দাঁড়িয়ে
একটি আলিঙ্গন চাই
ঠোঁটের ভাঁজ থেকে
অন্তত এক ফোঁটা বিষ চাই।।
65 · Apr 2020
অজানা
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু; আমাদের আত্মা এক অবিনশ্বর সত্তা
আত্মার অদৃশ্য জঠরের ভিতর
প্রাণ অন্তর হৃদয়ের অদৃশ্য বলয়
আত্মার ভালোবাসা অদৃশ্য বাঁধন শূণ্য
আত্মায় কোন প্রাচীর নেই; সীমানা নেই
এমনকি কোন দেয়াল নেই কোথাও
অন্যদিকে অত্যন্ত চঞ্চল মন; প্রায় অপ্রতিরোধ্য
উচ্ছৃঙ্খল মন ভালোবাসার নামে বর্ণিল কথা বলে
নিয়ন্ত্রিত শরীরে শান্তি চায়: প্রশ্রয় চায়
আত্মা চায় সংহতি বন্ধুত্ব সহায়তা জাগ্রত বিবেক
জানো অণু ? মানুষের জন্মের সময় আত্মা থাকে উদার
বিস্তৃত এবং অনণ্য শান্তিপূর্ণ অন্তর প্রাণ হৃদয়
কিন্তু মন; শরীর ও আত্মাকে শাসন করে
দখল করে নেয় দৃষ্টি বিবেক বৃদ্ধি; আর
পার্থিব হিসেবের সকল অনুসঙ্গ
শরীর হতে বিভক্ত করে প্রাণ অন্তর হৃদয়
অগ্নিশর্মা যুদ্ধ করে বুদ্ধিমত্তার সাথে
প্রাচুর্য্যের অবগাহনে ছুটে নির্দিধায়
প্রলম্বিত মন সবার আগে বেছে নেয়
সমৃদ্ধি সৌন্দর্য্য রোমাঞ্চকর পার্থিব সুখ
কৌশলী শরীর হতে আত্মা অপসারন করে
পদদলিত করে অন্তর প্রাণ হৃদয়
জানো অণু ! প্রতিটি মানুষ
একটি মহান আত্মার জন্য জন্মেছিলো
আমাদের মতো মানবতাময় ভালোবাসার ভিখিরি হয়ে
অথচ মনের অপরিমিত দারিদ্রতায় বুদ্ধিমান প্রাণীগুলো
প্রাচুর্য্য প্রলোভনে শক্তিশালী জীবনধারার আশায়
মানবতহীন অহংকারী বুদ্ধিমান মানুষ
চিনেনা প্রাণ অন্তর হৃদয়; চায় না কল্পনার মুক্তি
মনে দুর্ভেদ্য অন্ধকার জানেনা জম্মের হেতু।।
Samar Bhowmick Apr 2020
আছেন অনেক প্রসিদ্ধ কবি
এখনও যাঁরা বালক
ষোড়শীর প্রতি মোহ তাঁদের
দৃষ্টি তাঁদের অপলক।

মস্তিস্কে মাখেন আবেগের রং
বিবেক তাঁদের শূণ্য
মোহ ঘোরে কাটায় সময়
জীবন যেন ধন্য।

প্রেমের বয়স নয়তো কচি
নয়তো অনুর্ধ্ব ষোল
আঠারো নির্ধারন করেছে দেশ
কবিরা কেন ভুলো?

শরীর দেখে বিবেক হারায়
যেসব জ্ঞানী কবি
তাঁরা হলেন দুষ্টের দোসর
ধর্ষকের প্রতিচ্ছবি।

প্রেমের জন্য বয়স চাই
বিবেক চাই পূর্ণ
তা নাহলে প্রেমের গাড়ী
রাস্তায় চূর্ণ বিচুর্ণ।

বিরহ কি এমন ব্যথা
কাছে থাকায় নাই ?
বিরহ হলো কাছে থেকেও
আরো কাছে চাই।

ছেড়ে গিয়ে বিরহ ব্যথায়
কাতর যেসব কবি
তাঁরা হলেন ধূর্ত বস্তুবাদী
স্বার্থপরের ছবি।

আবেগ মোহ বিসর্জন দিয়ে
আত্মার দৈনতা ছাঁটেন
ধর্ম মতে মানবিক হয়ে
প্রেমের পথে হাঁটেন।

হবে চল্লিশোর্ধ প্রেমের বয়স
ভাবুন নিবিয়ে বাতি
আবেগ মোহ দিয়ে কেমন
কাটিয়ে ছিলেন রাতি।

আবেগ মোহ না কাটিলে
প্রেম বুঝিবে কে
বুঝার আছে অনেক কবি
নাবালক কবি যে।।
Samar Bhowmick Apr 2020
“মানুষকে হারাতে মৃত্যু’র প্রয়োজন নেই।
মানুষের মানবতা হারালেই মানুষ হারিয়ে যায়”
                                         - সমর ভৌমিক
64 · Apr 2020
অণু’র হাত
Samar Bhowmick Apr 2020
অণু’র কোমল হাত
আমার জন্য প্রার্থনা করে
আবার;
অন্তরঙ্গ স্নেহে
নিশ্চিন্ত
আবেগ তৈরী করে
তাঁর হাতের কোমল খেলা
কখনও
শিল্পের অঙ্গ হয়
প্রেমের শীর্ষে
নিরাপদ;
যদিও অন্ধকার
স্পর্শকারী হাত
উষ্ণতা দিয়ে যায়
অন্তর্বাসের গভীরে
প্রবাহমান জীবন স্রোত;
ভালোবাসার কৌটোয়
সেই হাতের স্পর্শ
আমি ছুঁতে চাই
অবিরাম খুঁজি
আমাকে কষ্ট দেয়;
আমিও
সে হাতের প্রার্থনা করি।
63 · Apr 2020
হে ঈশ্বর
Samar Bhowmick Apr 2020
হে ঈশ্বর তোমার করুণায় আমরা বিমোহিত
আমরা সংশয়বাদী হলেও তোমাতে বিশ্বাস
আমাদের জন্য শক্তিশালী করো তোমার করুণা
আমাদের বিশ্বাসে বিড়ম্বনা তৈরী করো না
যদিও অপারগ হলেই তোমার প্রার্থনা করি
আমাদের পক্ষে ধর্ম গুরু উপাসনা করেন
আমাদের মাতাপিতা উপাসনা করেন
হে ঈশ্বর আদি পিতা মানবতার জন্মদাতা
তোমার পবিত্র সৃষ্টি রক্ষা করো
করোনার ভয়াবহ মহামারী থেকে পরিত্রান দাও
আমাদের বিশ্বাসে ঈশ্বর তুমি জীবিত আছো
তুমিই আমাদের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত করবে
তুমিই চোখের অস্রু শুকাতে কৃপা করবে
আমাদের মুক্ত করবে অপ্রত্যাশিত বিপদ থেকে
হে ঈশ্বর দেখো মানবতার জন্য আত্মত্যাগ করেছে
কত ডাক্তার কত স্বেচ্ছা কর্মী
তুমি তাদের আত্মত্যাগ মহিমান্বিত করো
আমাদের কষ্টের কথা শোনো
তুমি আমাদের কাছে অদৃশ্য হলেও
বিশ্বাসে তুমি সর্বদা জাগ্রত
আমরা বেদনাময় ছোট্ট শিশুর মতো
তোমার করুণা প্রার্থনা করছি।
63 · Jun 2020
ডুবে যাবো
Samar Bhowmick Jun 2020
একান্ত আপন নির্জনতায়-
বন্ধ ঘরের বিবস্ত্র অন্ধকারে
দৃষ্টিতে ভালোবাসার তারা উন্মোচন করি
পরিশ্রমী মন চোখ অনুভুতি অনুভবে
আত্মায় অবিরাম ক্রন্দনের কম্পনে
পৌঁছে যাই লাস্যময়ী অণু’র জ্বলজ্বলে আলোয়-
কান্নাকাটিরত হৃদয় আশা’র প্রার্থনা করে
জীবন যেন জীবন শিকারীদের শিকার না হয়।

আমাকে অপেক্ষা করতে শেখায়-
প্রেমের শেষ আনন্দ জানা পর্যন্ত
আমি নতুন রূপে প্রতিজ্ঞা করি প্রতিদিন
ধৈর্য্য এবং পরিশ্রমকে সঙ্গী করি,
বর্ণিল সুখের সোহাগী প্রেমের আশায়-
অণূ’র চোখে ত্যাগী ভালোবাসার অমৃত বার্তা পাঠাতে
পদব্রজে ভ্রমন করে যাই জীবনের চৌচির পথ
যতদিন প্রতিদিন নতুন দূরত্বের ধাঁধাঁ।

এবং অন্তরের কর্কট ব্যাথা ধুপের আগুনে ঢেলে
বাতাসের মতো অবিরাম যাত্রায়-
অন্বেষণ করে যাই নতুন অবস্থান
সন্ধান করে যাই অণু’র নিরাপদ নিঃশ্বাস,
জীবনের দীর্ঘ পথের বাঁকে বাঁকে-
স্বতঃসিদ্ধ ভালোবাসার জোয়ারের টানে
দুঃসাহসিক অপেক্ষায় যাত্রা আমার।

একদিন আকাশ থেকে আনন্দের বৃষ্টি ঝরবে
জ্বলজ্বল করে জ্বলবে নীলাভ তারা,
রাত ফেটে পড়বে কম্পমান প্রাণের খাঁচায়
আনন্দ আরামের অনুভবে-
অট্ট হাসি হাসবে বুকের শীতল পাহাড়,
যতদিন বাঁচিনি আমি-
মৌসুমী হাসির শব্দ গুঞ্জনে; বাসন্তি কর্ণকূহর
যতদিন দেখিনি-
ব্যাথা এবং আনন্দের যুগল জোড়া,
প্রস্তানহীন সময়ের জের।

এবং উজ্জ্বল সৌর আলো দেখে দেখে
অনুভব করবো অণু’র মায়াবতী উষ্ণ বাতাস,
আত্মার দরজা খুলে মন ঘুরে ঘুরে-
দেখবো অণু কোথায় আছে,
কোথায় অবসান তার যাতায়ত
ভয়ের সমস্ত সন্ত্রস্ত চিহ্ন বহুদূরে তাড়িয়ে,
অণ’র মুক্ত স্বাধীণ আত্মায়-
যেতে যেতে ক্রমশ ডুবে যাবো।।
Next page